Foto: Barnevakten

«Skjermet barndom?» এবং অভিবাসী পিতামাতা

শিশুদের কম্পিউটার ব্যবহার সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট যেখানে দুটি ইন্টারনেট ভিত্তিক জরিপ রয়েছে। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের পিতামাতাদের জন্য এবং অন্যটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য।

«Skjermet barndom?» শিশুদের কম্পিউটার ব্যবহার সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট যেখানে দুটি ইন্টারনেট ভিত্তিক জরিপ রয়েছে। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের পিতামাতাদের জন্য এবং অন্যটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য। গবেষণাটি পরিচালনা ও প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্বে ছিলেন এনএলএ ইউনিভার্সিটি কলেজের একদল গবেষক এবং এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে বার্নাভাকতেন (Barnevakten)।

একজন অভিবাসী বাবা হিসেবে, আমি মনে করি এক্ষেত্রে অভিবাসী পিতা-মাতার অভিজ্ঞতা কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। এই প্রবন্ধে আমি রিপোর্টটির পিতামাতা সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করেছি এবং তুলে ধরার চেষ্টা করেছি রিপোর্টটির কোন অংশগুলোতে অভিবাসী পিতামাতার কিছু ভিন্ন অভিজ্ঞতা থাকতে পারে।

প্রথমত, আমি বলতে চাই যে ১০,৪২৭ জন উত্তরদাতার মধ্যে অবশ্যই কিছু অভিবাসী পিতামাতা আছেন। কিন্তু এই পরিসংখ্যান যেহেতু তাদের সম্পর্কে কোনো আলাদা তথ্য প্রদান করে না, তাই আমরা বলতে পারছি না যে তারা কতজন বা তাদের অংশগ্রহণ সামগ্রিক পরিসংখ্যানকে কতটা প্রভাবিত করেছে। 

অপেক্ষাকৃত কম অর্থনৈতিক সামর্থ্য
রিপোর্টটিতে আমরা দেখতে পাই যে অধিকাংশ পিতামাতাই তাদের সন্তানদের কাছ থেকে ডিজিটাল সরঞ্জাম কিনে দেয়ার জন্য চাপ অনুভব করেন (সামান্য ২৮ শতাংশ, কিছুটা ৩৯ শতাংশ, অনেক বেশি ১৫ শতাংশ) এবং তাদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ বাবা-মাই জানিয়েছেন যে তাদের সন্তানরা বন্ধু ও সহপাঠীদের নতুন কম্পিউটার বা অন্য কোনো ডিভাইস কেনার উদাহরণ দেখিয়েছে।

যেসব শিশুদের কম্পিউটার গেইম খেলার শখ রয়েছে, তারা সবসময়ই নতুন ডিভাইসের বায়না করে। আর বাজারে সবসময়ই নতুন নতুন খেলা আসতে থাকে যা পুরাতন ডিভাইসে ব্যবহার করা যায় না। এছাড়াও রয়েছে অনেক গেইম যার জন্য প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন। সে-সব গেইম খেলতে চাইলে টাকা পরিশোধ করতে হয়।

একটি নতুন দেশের অভিবাসী হিসেবে এটি খুব স্বাভাবিক যে নরওয়েজিয়ান পিতামাতার চেয়ে অভিবাসী পিতামাতাদের তুলনামূলক কম অর্থনৈতিক সামর্থ্য থাকবে। ফলে তারা সবসময় তাদের সন্তানদের জন্য ব্যয়বহুল ডিভাইস এবং সরঞ্জাম কিনে দিতে পারে না। কিন্তু শিশুরা প্রায়শই এই ব্যাপারগুলো বুঝতে পারে না। ফলে এই চাপ বাড়ির পরিবেশে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। 

কম প্রযুক্তিগত জ্ঞান

জরিপটিতে দেখা গিয়েছে বেশীরভাগ পিতামাতা ও অভিভাবকই তাদের সন্তানদের মিডিয়া ব্যবহারের প্রতি নজর রাখেন (কিছুটা ২৮ শতাংশ, বেশি ৪২ শতাংশ এবং অনেক বেশি ২৬ শতাংশ)। কিন্তু অভিবাসী পিতামাতার জন্য এটা কঠিন হতে পারে। শিশুদের মিডিয়া ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করতে হলে পিতামাতাকে প্রযুক্তি সম্পর্কে হালনাগাদ ধারণা থাকতে হবে।

স্ক্রিন সময়সীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রেও একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া শিশুদের বাবা-মায়েদের অর্ধেক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়া শিশুদের সীমিতসংখ্যক এই কাজে গুগল ফ্যামিলি লিংক ব্যবহার করেন অথবা রাউটারের মাধ্যমে নিয়িন্ত্রত করেন। প্রযুক্তিতে সামান্য জ্ঞান সম্পন্ন পিতামাতার পক্ষে এই অ্যাপগুলির ব্যবহার কঠিন হতে পারে। কেউ কেউ হয়তো জানেনই না যে এধরনের প্রযুক্তি রয়েছে।

একই ব্যাপার প্রযোজ্য নরওয়েজিয়ান পিতামাতার ক্ষেত্রেও। তবে বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশ থেকে আসা অভিবাসী পিতামাতার চেয়ে তাদের এ বিষয়ক জ্ঞান তুলনামূলক বেশি। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ পিতামাতারই সন্তানের স্ক্রিন সময় নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা রয়েছে, কিন্তু তারপরও ৮ শতাংশের রয়েছে সামান্য যোগ্যতা এবং ২ শতাংশের খুব কম। আমরা যদি সংখ্যা বিবেচনা করি, তবে সেটা মোটেই ক্ষুদ্র নয়। দুর্ভাগ্যবশত, এই বিষয়ে নরওয়েজিয়ান ও অভিবাসী পিতামাতার মধ্যে পার্থক্য বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই, তাই পার্থক্যটা কতখানি তা আমরা বলতে পারছি না।

অভিবাসী পিতামাতার সন্তানদের প্রায়শই তাদের পিতামাতার চেয়ে ভালো প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকে। কিছু পরিবারে তাই শিশুরা চাইলে তাদের নিজস্ব মিডিয়া ব্যবহারের ওপর বাবা-মায়ের নিয়ন্ত্রণকে উপেক্ষা করতে পারে। 

সম্ভবত কম পারিবারিক দ্বন্দ্ব
রিপোর্টটিতে দেখা যায় অর্ধেকের বেশি পিতামাতাই স্বীকার করেছেন যে সন্তানদের প্রযুক্তি ব্যবহার পরিবারে দ্বন্দ্বের উৎস হিসেবে কাজ করে – কখনও কখনও (৪৩ শতাংশ) অথবা প্রায়শই (১৬.২ শতাংশ)। সপ্তম শ্রেণীর একটি শিশুর পিতা/মাতা এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেনঃ

«আমি চিন্তিত। সে বলে যে তার সব বন্ধুরা তার মতোই দীর্ঘ সময় ধরে গেইম খেলে। খেলা বন্ধ করতে বললে প্রায়ই সে আক্রমণাত্মক আচরণ করে। প্রায়শই আমি এরকম পরিস্থিতিতে অসহায় বোধ করি এবং হতাশ হই।

নবম শ্রেণীর এক শিশুর বাবা/মা লিখেছেনঃ
»অনেকবার চেষ্টা করেছি, সে ভুলে যায়, অবসরে তার সাথে সময় কাটানোর মতো কেউ নেই।»
এই সমস্যাটি সম্ভবত অনেক পরিবারেরই একটি সাধারণ ঘটনা। কিন্তু অভিবাসী শিশুরা যেহেতু সাধারণত অন্য অভিবাসী শিশুদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে, তাই অবসরে সময় কাটানোর মতো তাদের কম খেলার সাথী থাকতে পারে, বিশেষ করে যদি তারা এমন জায়গায় বাস করে যেখানে অভিবাসী পরিবারের সংখ্যা কম।

তবে কম্পিউটার ব্যবহার সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব নরওয়েজিয়ান পরিবারের তুলনায় অভিবাসী পরিবারে কিছুটা কম হতে পারে। শিশুর স্ক্রিন সময় সীমিত করার জন্য পিতামাতার অবশ্যই এ বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে। যদি শিশুটি যা ইচ্ছে, যতটুকু ইচ্ছে ব্যবহারের অনুমতি পায় এবং পিতামাতার এ বিষয়ে কোন জ্ঞান না থাকে, তাহলে সেখানে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। কখনও কখনও পিতামাতা ওপরোল্লিখিত পিতা/মাতার মতো অসহায় বোধ করতে পারেন এবং দ্বন্দ্ব এড়াতে এ বিষয়ে সন্তানকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দিতে পারেন।

সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হলো ভাষা
অভিবাসী পিতামাতার জন্য সন্তানের কম্পিউটার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের কাজটিকে আরো কঠিন করে তোলে ভাষা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের অভিভাবকদের ওপর পরিচালিত জরিপটির প্রতিবেদন থেকে আমরা দেখতে পাই যে অধিকাংশ বাবা-মা Nettvett, Barnevakten, Slettmeg, Forbrukerrådet এবং আরও অনেক সাইট ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এসব সাইটে একটি মাত্র ভাষাই ব্যবহার করা হয়েছে, নরওয়েজিয়ান। সেগুলো বুঝতে হলে নরওয়েজিয়ান ভাষা সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকতে হবে।

এই সাইটগুলো কীভাবে কাজ করে তা বোঝার জন্যও ভাষা গুরুত্বপূর্ণ। অভিবাসী পিতামাতার জন্য এটি সহজ নয় এবং যারা সম্প্রতি নরওয়েতে এসেছেন তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব। বেশিরভাগ অভিবাসী পিতামাতাই এধরনের পরিস্থিতিতে তাদের সন্তানদের স্কুল থেকে প্রাপ্ত প্রশিক্ষণের উপর নির্ভর করে। এটা আমরা পরিসংখ্যান থেকেও স্পষ্ট দেখতে পাই।

‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমার সন্তান স্কুলে অনলাইন বিষয়ক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক শিক্ষা পায়’, এর সাথে একমত হয়েছেন যে ৩২.২ শতাংশ পিতামাতা, তাদের সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রাথমিক বিদ্যালয় বা সমপরিমাণ। বিপরীতে যেসব বাবা-মায়ের সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ পর্যায়ের, তাঁদের মাত্র ১২.৬ শতাংশ এর সাথে একমত হয়েছেন। এটা স্পষ্ট যে উত্তরদাতাদের উচ্চশিক্ষার সাথে সংখ্যাটি হ্রাস পেয়েছে। যদিও অনেক অভিবাসী পিতামাতারই উচ্চশিক্ষা থাকতে পারে, ভাষা তাদের কাছে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে।
স্কুল ও বাড়ির পরস্পর সহযোগিতা প্রসঙ্গে প্রায় অর্ধেক উত্তরদাতা (২৭ শতাংশ অল্প এবং ১৮ শতাংশ কিছুটা) একমত যে স্কুল তাদের সন্তানকে কম্পিউটার সামগ্রী ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করছে।

জরিপের উত্তরদাতাদের মধ্যে যে নরওয়েজিয়ান পিতামাতাই সংখ্যাগরিষ্ঠ, এটা আমরা অনুমান করতে পারি। এবং আমরা এটাও বলতে পারি যে নরওয়েজিয়ান ভাষায় তাঁদের ভাল দক্ষতা রয়েছে, কারণ অন্যথায় নরওয়েজিয়ান ভাষায় পরিচালিত এই জরিপে অংশগ্রহণ করাই তাদের পক্ষে অসম্ভব হতো। যদি নরওয়েজিয়ান পিতামাতাই মনে করেন যে তাঁদের সন্তানরা প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কে স্কুল থেকে সামান্য সাহায্য পায়, তাহলে যেসকল অভিবাসী বাবা-মায়ের নরওয়েজিয়ানে দক্ষতা কম এবং যারা সন্তানদের প্রযুক্তি ব্যবহারে কেবল স্কুল থেকে প্রাপ্ত শিক্ষার ওপর নির্ভরশীল, তাদের কী অবস্থা? অবশ্যই, তাদের জন্য এটা আরো কঠিন। 

গুরুত্বপূর্ণ যে শৃঙ্খলটি না ভাঙে
৭০ শতাংশ উত্তরদাতা পুরোপুরি বা আংশিকভাবে একমত যে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকতে দেয়া উচিত নয়, কারণ তারা এখনও যথেষ্ট পরিপক্ক নয়। পঞ্চম শ্রেণীর শিশুদের একজন অভিভাবক লিখেছেনঃ «একজন অভিভাবক হিসেবে আমার সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে যে অনেক বাবা-মা স্ক্রিন সময় ও বয়সসীমার ক্ষেত্রে শিথিল। এটা আমার পক্ষে সন্তানকে প্রতিরোধ করা কঠিন করে তোলে।”
এটা সব বাবা-মায়ের জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ হতে পারে।

স্কুলে ও বন্ধুমহলে বয়সসীমা একটি শৃঙ্খলের মত কাজ করে। কিছু শিশু স্বাধীন হতে পারে এবং মিডিয়া ব্যবহার সম্পর্কে তাদের ভাল উপলব্ধি থাকতে পারে, যে কারণে পিতামাতা তাদের স্ক্রিন সময় ও বয়সসীমার ব্যাপারে শিথিল হতে পারে। তবে এটা শিকলটিকে ভেঙ্গে ফেলে।
অভিবাসী পিতামাতার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ যেন শৃঙ্খলটি না ভাঙে। কিন্তু ব্যক্তিবাদের এই যুগে যদি একজন পিতামাতা তাদের সন্তানকে ১৩ বছরের বয়সসীমার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের অনুমতি দেন এবং এর ফলে শৃঙ্খলটি ভেঙে যায়, তাতে আসলে অন্যদের কিছু বলার নেই। সুতরাং আমাদের যা প্রয়োজন, তা হলো এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জর করা এবং সেটাই করা, যা আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য ভালো মনে করছি।

অভিবাসীদের ওপর একটি অনুরূপ সমীক্ষা
Skjermet Barndom? গবেষণাটি শিশুদের স্ক্রিন ব্যবহার ও এ সম্পর্কে পিতামাতার দৃষ্টিভঙ্গির প্রায় সবকিছুকেই অন্তর্ভুক্ত করেছে। গবেষণাটি যেহেতু আমাদের পরিমাণগত তথ্য দেয়, তাই এ বিষয়ে নরওয়ের সার্বিক পরিস্থিতির একটা সম্যক ধারণা লাভ করতে পারি আমরা। এটি স্কুল এবং পিতামাতা উভয়কেই এটা বুঝতে সাহায্য করবে যে তাদের কোন কোন ক্ষেত্রগুলোতে কতটা কাজ করতে হবে। এটি এমনকি সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষকে ভবিষ্যত নীতি নির্ধারণেও সাহায্য করতে পারে। কিন্তু প্রতিবেদনটিতে যেটি অনুপস্থিত, তা হলো অভিবাসী পরিবারগুলোর পরিস্থিতি।

অভিবাসী পরিবারগুলোও নরওয়ের সমাজের অংশ এবং তাদেরও বাড়িতে সন্তানদের প্রযুক্তি ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। যেহেতু সমস্ত তথ্যের উৎসগুলো নরওয়েজিয়ান ভাষায়, তাদের জন্য এসকল বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান লাভ করা কঠিন, বিশেষ করে যারা এই দেশে তুলনামূলকভাবে নতুন। আমি আশা করি ভবিষ্যতে অভিবাসী পিতামাতার উপর অনুরূপ একটি জরিপ, অথবা একই ধরনের একটি গবেষণা করা হবে যাতে অভিবাসী পিতামাতার তথ্যকে আলাদা করার সুযোগ থাকবে। এর ফলে তাদের পরিস্থিতি ভালোভাবে বোঝা যাবে এবং সে অনুযায়ী সঠিক পদক্ষেপ নেয়া যাবে।